Monday 26 January 2015

অনলাইনে আয় করতে চান?? তাহলে এই পোস্ট টি আপনার জন্য

"আমি অনলাইনে কিভাবে টাকা আয় করব??" এ টাইপের পোস্ট যেকোনো  গ্রুপেই কম বেশি দেখা গেলেও উত্তর দেবার কোন লোক তারা খুব কমই খুঁজে পায়।উত্তর জানেন অনেকেই কিন্তু সময়ের অভাবে হয়ত উত্তর দেয়া হয়না তাদের।যাই হোক কাজের কথায় আশা যাক।

 অনলাইনে আয় করার জন্য বিভিন্ন ধরনের ওয়েবসাইট আছে। তাদের মধ্যে অন্যতম জনপ্রিয় ওয়েবসাইট গুলো হলঃ
1.www.odesk.com
2.www.elance.com
3.www.Freelancer.com
4.www.99design.com
5.www.microworkers.com
6.www.peopleperhour.com
7.www.guru.com
8.www.freelanceswitch.com

           এইসকল ওয়েবসাইটে কাজ করার জন্য আপনাকে অন্তত এক বিষয় খুব ভাল দখল নিয়ে আগানো ভাল।কাজ শেখার আগে আইডি না খোলাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে। ওয়েবসাইট গুলোতে web design,seo,web development,content writing,logo design,application বানানোর কাজ পাবেন।আপনি যে কাজটি পারেন সে কাজ পাওয়ার জন্য আবেদন করতে হবে।বায়ার আপনাকে যোগ্য মনে করলে কাজ পাবেন,নতুবা পাবেন না।কেউ ২-৩ বছরেও কাজ পায়না,কেউ বা জীবনের প্রথম বিডেই কাজ পায়।।যাই হোক এই হচ্ছে মোটামুটি ওয়েবসাইট গুলোর ব্যাপারে ধারনা।


কিভাবে কাজ শেখা শুরু করবেন:কোন কাজ শিখবেন আগে সেই সিদ্দান্ত নিন।নিচে একটি একটি করে আলোচনা করছি।একেবারেই সংক্ষেপে আলোচনা করছি।। 


ফ্রীল্যান্সিং– যেভাবে শুরু করবেন

বর্তমানে ফ্রীল্যান্সিং একটি জনপ্রিয় কর্মক্ষেত্র। খুব সহজে এবং বিনা পুজিতে আপনি ফ্রীল্যান্সিং শুরু করতে পারেন। আমামদের দেশে অনেক প্রতিভা আছে, আছে অনেক সম্ভাবনা শুধু দরকার তাদেরকে সঠিক তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করা। শুধু মাত্র সঠিক তথ্য এবং দিকনির্দেশনার অভাবে আমরা পিছিয়ে যাচ্ছি। আমার এই লেখাতে আমি চেষ্টা করব, কিভাবে আপনি ফ্রীল্যান্সিং শুরু করবেন।

ফ্রীল্যান্সিং কি? সহজ কথায় ফ্রীল্যান্সিং হল অন্য কার কাজ করে দেয়া। আমামদের দেশে ফ্রীল্যান্সিং বলতে আমরা বুঝি অন্য দেশের কাজ একটা মার্কেটপ্লেস থেকে যোগাযোগ করে, কাজ নেয়া এবং সেটা করা।

ফ্রীল্যান্সিং এর ক্ষেত্র - odesk. Elance, freelancer, আরও অনেক সাইট রয়েছে যেখানে আপনি বিনা মুল্লে নিবন্ধিত হতে পারেন এবং কাজ শুরু করতে পারেন।

ফ্রীল্যান্সিং এর সুবিধা- ফ্রীল্যান্সিং এর  অনেক সুবিধা আছে, যেমন আপনি নিজে নিজের কাজ ঠিক করতে পারছেন, নিজের পছন্দ মত কাজ বেছে নেয়ার সুযোগ, মার্কেট সম্পর্কে ধারনা পাবেন, আন্তর্জাতিক মানের কোম্পানির সাথে কাজ করার সুযোগ, নিজের পরিচয় এবং কাজকে অন্যকে জানাতে পারছেন, অবশ্যই আপনি উপার্জন করছেন, আপনার দক্ষতা যাচাই করার সুযোগ পাচ্ছেন, সর্বোপরি এই বিশ্বায়নের যুগে নিজেকে প্রস্তুত করতে পারছেন।

কি কি ফ্রীল্যান্সিং করতে পারেন- অনেক ধরনের কাজ আছে, আপনি আপনার পছন্দ এবং যোগ্যতা অনুযায়ী যেকোনো কাজ করতে পারেন। তবে আপনি যে কাজটি করবেন, তার একটি নুন্নতম মান থাকা ভাল বলে আমার মনে হয়। ওয়েব ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইযেসান, লেখালেখি, ডিজাইন করা, অ্যাপলিকেসান ডেভেলপমেন্ট করা ইত্যাদি আপনাকে ভিন্ন উচ্চতাই নিয়ে যেতে পারে। শুধু মাত্র টাকা উপার্জন করার জন্য ফ্রীল্যান্সিং করা এবং নিজের অমূল্য সময় নষ্ট করা একই কথা। আপনাকে অবশ্যই এমন কাজ বেছে নেয়া উচিত যেটা আপনার ভবিষ্যতে কাজে লাগবে। আপনি এমন কাজ করেন, যেটা দিয়ে আপনি অর্থ উপার্জন করতে পারবেন, গর্ব করতে পারবেন এবং ভবিষ্যতে আপনার কাজে লাগবে।

ফ্রীল্যান্সিং এর জন্য চাই সঠিক দিকনির্দেশনা – সঠিক দিকনির্দেশনা পেলে, আপনিও হতে পারেন একজন সফল ফ্রিলানসার। এক্ষেত্রে আমার পরামর্শ হল, গতানুগতিক কোন প্রথিষ্ঠান না গিয়ে, সফল ফ্রিলানসারদের সহযোগিতা নেয়া, তাদের কাছ থেকে সরাসরি হাতে কলমে শিক্ষা নেয়া, কেননা তারা কাজ করেছে , তারা জানে কথাই ভুল হয়, কোনটা করা ভাল আর কোনটা করা ঠিক না।

নিজেকে ফ্রীল্যান্সিংএর জন্য তৈরি করুন- প্রথমে কোন কিছু  না জেনে, ফ্রীল্যান্সিং শুরু করা ঠিক না। প্রথমে নিজেকে তৈরি করুন এবং এরপর শুরু করুন। খুব ভাল হয়, আপনি যদি কোন একটা বা একাধিক কাজের উপর প্রশিক্ষন নেন। যেমন ধরুন, ওয়েব ডিজাইন এর কথা HTML, CSS দিয়ে আপনি কাজ শুরু করতে পারেন এবং কাজ করতে করতে নিজেকে আর দক্ষ করে তুলতে পারেন। কাজ করার জন্য সময় নির্বাচন, কমপিউটার এবং অন্য সব কিছু ঠিক করে নিতে হবে এবং সর্বোপরি নিজেকে কাজ করার উপযোগী করে তুলতে হবে এবং আমি আবার বলছি, এক্ষেত্রে প্রশিক্ষন এর কোন বিকল্প নেই। আপনার নিজের কিছু কাজের নমুনা, (Portfolio), কোন নিজস্ব ব্লগ, ফোরাম আপনাকে অন্নদের থেকে এগিয়ে রাখবে, এর যদি আপনার নিজস্ব ওয়েব পেইজ থাকে তাহলে অনেক ভাল হয়।